বাঘায় আমবাগান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার

বাঘায় আমবাগান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার

বাঘায় আমবাগান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার
বাঘায় আমবাগান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার

বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় আম বাগান থেকে রিপা আরা ওরফে সীমা বেগম নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ১৫ দিন পর বজলুর রহমান ( ৪৫) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিবি পুলিশের সহায়তায় গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ফরিদপুর সদর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, উপজেলার আরিপপুর গ্রামের আতব আলীর মেয়ে সীমা বেগমের (৩৮) প্রায় ১৫ বছর পূর্বে উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের সাহাবুল ইসলাম এর সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের ৭ বছরের মাথায় স্বামী সড়ক দুর্ঘনায় মারা গেলে বছর চারেক সে দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাসায় থাকেন। সেখান থেকে উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের জুয়েল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে সেখানেও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৬ মাস থেকে বাঘায় সদরে একটি বাসাভাড়া করে বসবাস করতেন। এরই মাঝে গত ২৩ মার্চ সকালে তার লাশ উপজেলার আরিফপুরের একটি নির্জন আমবাগান থেকে উদ্ধার করে বাঘা থানা পুলিশ। আগের রাতে (২২ মার্চ) যে কোন সময় তাকে হত্যার পর ফেলে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য সিমা বেগমের লাশ রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরন করেন।

এ ঘটনায় গৃহবধুর ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা (অজ্ঞাত) দায়ের করেন। বাঘা থানার মামলা নম্বর ২৬, (তারিখ-২৩ মার্চ)। পরে বাঘা থানার উপ পরিদর্শক ( এস আই) তৈয়ব মামলাটির তদন্তভার পায় । তদন্তের ১৫ দিনের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামী ও আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাকুনদিয়া বাজার এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার আইও এসআই তৈয়ব আমাদের সময়কে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার আসামী বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর ওই দিন দুপুরেই তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়। সেখানে, চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ধৃত আসামী সিমা বেগম কে খুন করেছে বলে ১৬৪ ধারায় স্বিকারুক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছেন। পুলিশের তদন্ত ও আসামির জবান বন্দি থেকে হত্যাকান্ডের আরও কিছু তথ্য আমাদের হাতে আছে। যা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে খুব শিঘ্রই অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তারসহ হত্যার মুল রহস্য প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি (তদন্ত) আব্দুল বারি জানান, সিমা বেগম হত্যার ঘটনায় একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply