রাজশাহীতে ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত: লকডাউন চায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

রাজশাহীতে ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত: লকডাউন চায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

রাজশাহীতে ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত: লকডাউন চায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
রাজশাহীতে ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত: লকডাউন চায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে প্রতিদিনই ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসরত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের অর্ধেকই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে লকডাউন না দিলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে রাজশাহীবাসী।

এদিকে, ঈদের আগে ৪২ জনের নমুনা জেনম টেস্টের জন্য ঢাকার আইইডিসিআর এর করোনা পরীক্ষা ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ৭জনের নমুনায় ভারতীয় ভেরিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ৪২ জনের নমুনার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাঠানো হয় ৩৬ জনের নমুনা এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় ৬জনের নমুনা।

তবে এই সাতজনের কে কোথায় অবস্থান করছে সে বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারেনি রাজশাহী সিভিল সার্জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জনসহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। মানুষজনকে বাইরের দেখা না গেলেও বিভিন্ন পন্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মানুষ পালিয়ে আসছে রাজশাহীতে। পরে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ নিজ কর্মস্থানে যাচ্ছেন। সন্ধ্যা হলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী সীমান্ত উপজেলা গোদাগাড়ী-তানোর হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ রাজশাহীতে ঢুকছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শামীম ইয়াজদানী জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগীদের অধিকাংশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরত। এই মুহূর্তে রাজশাহীকে লকডাউন এর আওতায় না আনা গেলে এর খেসারত দিতে হবে রাজশাহীবাসীকেই। সেই সাথে সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সাধারণ জনগণের মাঝে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।

তিনি আরওে বলেন, শুধু লকডাউন নয়, লকডাউনকে প্রকৃত অর্থে বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি তা না হলে করোনা মহামারী রোধ করা সম্ভব হবে না।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply