যানজট এড়াতে আমের হাট বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর

যানজট এড়াতে আমের হাট বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর

যানজট এড়াতে আমের হাট বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর
যানজট এড়াতে আমের হাট বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় আমের মোকাম বানেশ্বর হাট। হাটটি ঢাকা রাজশাহী মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় রাস্তায় ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে হাটে যানজট এড়াতে বানেশ্বর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আমের হাটটি স্থানান্তর করেছেন উপজেলা প্রশাসন ।

রোববার ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্্রপালি ও ফজলি আম এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা রয়েছে আশ্বীনা পাড়া শুরু হবে বলে ১০ জুলাই থেকে। এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে।

রোববার হাটে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে উঠতে শুরু করেছে সব জাতের আম। বানেশ্বর বাজারে ভ্যানে করে আম বিক্রি করছেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে অন্য এলাকা থেকে তেমন পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসেনি। কিছু ব্যবসায়ী, স্থানীয় আড়তদার ও সাধারণ ক্রেতারা কিনছেন আম।

দুলাল নামের এক আড়ৎদার জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই আম কিনে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। বর্তমানে গোপালভোগ জাতের আম ২২০০ থেকে ২৬০০ টাকা মণ, লোকনা ৬০০-৮০০, হিমসাগর ১৪০০-১৮০০, ল্যাংড়া ১২০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গুটি জাতের আমের দাম প্রতি মণ ৬০০-৯০০ টাকা।

রুবেল নামের এক আম চাষী জানান, করোনার মহামারির কারণে রাজশাহীর বাইরে থেকে পাইকারী ক্রেতা তেমন আসেনি। যারাও এসেছে তারা অনেক দামাদামি করে কম দামে আম কিনছে। কিন্তু তাদের চাওয়া দামে আম বিক্রি করলে লোকসান হবে বলেও জানান তিনি।

পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভূইয়া জানান, নিয়মিত বানেশ্বর আমের হাট পরিদর্শন করছেন এবং উপজেলা প্রশাসন সব সময় তাদের সহযোগিতা করছে। আমের হাট বানেশ্বর সরকারি কলেজ মাঠে স্থানান্তর করায় সকল আম চাষীরা খুশি হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে যাতে সবাই মাক্স ব্যবহার করে সেজন্য উপজেলা প্রসাশন থেকে সবসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুমানা আফরোজ বলেও জানান এই কৃষি অফিসার।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply