অনলাইন ডেস্ক: নির্যাতিতা নারীর বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, পরিবারটি বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছে। বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
সন্ধ্যার পর কয়েকজন যুবক পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে ওই নারীর ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায়। আরেকটি অটোরিকশায় নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়। রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধর্ষকরা।
এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯ নাম্বারে। কিন্তু পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেয়। পরে র্যাবকে ফোন দিলে তারা এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্তরা হলেন আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় ও মেহেদী হাসান বাবু।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন বলেছেন, ঘটনাটি স্পর্শকাতর তাই র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.