তামান্না হাবিব: এক সময়ে বলিউডের ছবির গল্পে অবধারিত ভাবে ঢুকে পড়ত নারী নির্যাতনের ঘটনা। তার মধ্যে ধর্ষণের দৃশ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকেই।
বলিউড ছবিতে একটা সময় পাকাপাকি জায়গা করে ফেলেছিলেন তিনি। আর সেই সূত্রেই অন্য রকম এক রেকর্ড দখলে এই অভিনেত্রীর। হিন্দি ছবিতে ধর্ষণের দৃশ্যে সবচেয়ে বেশি বার পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকেই। জানেন কে সেই অভিনেত্রী?
বলিউডি ছবিতে বারবারই ঘুরেফিরে আসে নারী নির্যাতনের কাহিনি। অন্তত আশির দশক পর্যন্ত হিন্দি ছবি মানেই তাতে ধর্ষণের দৃশ্য থাকবে, এমনটাই ছিল চেনা ছবি। আর তার অধিকাংশতেই নির্যাতিতার ভূমিকায় অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। নাজিমা। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে বহু ছবিতেই এমন দৃশ্যে পর্দায় থাকতেন এই অভিনেত্রী।
নিষ্পাপ লাবণ্যে ভরা সুন্দর মুখ। সৌন্দর্যে তখনকার নায়িকাদের টেক্কা দিতে পারেন। এ হেন নাজিমাকে এক দেখাতেই নায়ক বা নায়িকার বোনের চরিত্রে বাছাই করতেন বহু পরিচালক। নিজে নায়িকা হওয়ার বাসনা রাখলেও তাই বোন বা বন্ধুর চরিত্রে নিয়মিত কাজ করতেন নাজিমা। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নামই হয়ে যায় ‘বলিউডের বোন’! আর কে না জানে, তখনকার বলিউড ছবিতে এ ধরনের চরিত্ররাই ধর্ষণের শিকার হত বেশি। ফলে বেশির ভাগ ছবিতেই পর্দায় ধর্ষিতা হতেন নাজিমা।
১৯৪৮ সালে নাসিকে জন্ম নাজিমার। বলিউডে প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী ‘বেবি চাঁদ’ হিসেবে। ১৯৫৪ সালের ছবি ‘বিরাজ বহু’-তে। ১৯৫৮ সালেই প্রথম নায়িকার ভূমিকায় কাজ করেছিলেন ‘প্রিন্সেস সাবা’ নামে একটি ছবিতে। তবে বলিউডে তাঁকে পরিচিতি দেয় বোন, বন্ধুর মতো পার্শ্বচরিত্রই। এর পর ষাটের দশকে ‘আরজু’, ‘দিল্লাগি’, ‘তমান্না’, ‘আনজানা’, ‘অউরত’ কিংবা সত্তরের দশকে ‘বেইমান’, ‘মনচলি’, ‘অলবেলি’, ‘বদনাম’— সবেতেই তিনি বোনের চরিত্রে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্দায় ধর্ষিতা।
আশির দশক পর্যন্ত প্রায় ৪০টির কাছাকাছি হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন নাজিমা। এর পরেই বলিউড থেকে সরে যান তিনি। শোনা যায়, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃ্ত্যু হয়েছে এই অভিনেত্রীর। তবে তা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। বলিপাড়ার আর একটি সূত্রের মতে, মোটেই কম বয়সে মারা যাননি নাজিমা। ২০১৮ অবধি তাঁকে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকতে দেখা গিয়েছে।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.