আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রতিমন্ত্রী মাজিদ মীরামাদি জানিয়েছেন, চাবাহার ও রাস্ক শহরে ইরানের সেনাবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় হস্তগত করতে সেখানে হামলা চালিয়েছিল জইশ আল-আদল জঙ্গি গোষ্ঠী।
অশান্ত ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে ‘রেভলিউশনারি গার্ড’-এর সদর দফতরে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর ১১ জন সদস্য। সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে মারা গিয়েছে ১৬ জন জঙ্গি।
ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রতিমন্ত্রী মাজিদ মীরামাদি জানিয়েছেন, চাবাহার ও রাস্ক শহরে ইরানের সেনাবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় হস্তগত করতে সেখানে হামলা চালিয়েছিল জইশ আল-আদল জঙ্গি গোষ্ঠী। রাতভর সংঘর্ষে দু’জন পুলিশকর্মী, দু’জন সীমান্তরক্ষী, সাত রেভলিউশনারি গার্ড ও বাসিজ ভলান্টিয়ার বাহিনীর সদস্য নিহত হন। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আরও ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী। চাবাহারে জঙ্গিরা কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দিও করেছিল। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বন্দিদের ফেলে পালায় কয়েক জন জঙ্গি। সংঘর্ষে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
জইশ আল-আদল দীর্ঘদিন ধরেই বালুচিস্তানের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সার্বিক অধিকার এবং উন্নত বাসযোগ্যের দাবি জানিয়ে আসছে। সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে ইরানের নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে একাধিক বার হওয়া হামলার দায় নিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। গত ডিসেম্বরে তারা রাস্ক শহরের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। ঘটনায় ১১ জন পুলিশ কর্মী নিহত হন।
আফগানিস্তান থেকে পশ্চিম-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচার করার জন্য ইরান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘ট্রানজ়িট রুট’। ফলে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এই এলাকাটিতে ইরানের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে মাদক পাচারকারী ও জঙ্গিদের সংঘর্ষ লেগেই থাকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.