বিনোদন ডেস্ক : রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এখন ব্যস্ত নিজের জগত নিয়ে। তাই বলে গণমাধ্যমের কাছে থেকে একেবারে আড়ালে চলে যাবেন তা কী করে হয়? গণমাধ্যম শুধু মিথিলার কাজের খবর প্রকাশ করে। কাজ বলতে শোবিজ দুনিয়ার কাজ। কিন্তু এর বাইরেও মিথিলার অন্য জগত রয়েছে। যে জগতে রয়েছে পরিশুদ্ধ আনন্দ, ভালো লাগা, অনুভূতির উত্থান পতন। এই জগত নিয়েই ব্যস্ত। বলছি সে জগতের কথা। একটু ধৈর্য ধরুন।
শিরোনাম দেখে চমকে উঠেছেন কি! হতে পারে, উঠতেই পারেন। তবে কথা একদম সত্যি। সম্প্রতি উগান্ডায় গিয়েছিলেন টেলিভিশন পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী-মডেল। শুধু তাই নয় সম্ভবত আফ্রিকার আরো কয়েকটি দেশ তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। এর মধ্যে রুয়ান্ডাও রয়েছে, রয়েছে তানজানিয়া। তবে এটাকে একদম বেড়ানো বলা যায় না। ওই যে বলছিলাম না যে জগত নিয়ে তিনি ব্যস্ত সে জগতের অংশই এই আফ্রিকার দেশগুলো।
মিথিলা বর্তমানে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশানালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। আফ্রিকায় ব্র্যাকের বেশকিছু ব্রাঞ্চ রয়েছে। আর নিজের কাজের সূত্রেই আফ্রিকার দেশগুলোতে গিয়েছেন। মিথিলার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, উগান্ডা ও রুয়ান্ডায় শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে উঠেছেন। শিশুরাও যেন মিথিলাকে পেয়ে অল্প সময়ের জন্য পেয়ে গেছে কোনো প্রিয় মানুষকে। অন্তত মিথিলার ঘনিষ্ঠ হয়ে যাওয়া দেখে অনুমান করা যায়। শিশুদের উচ্ছ্বাস বলে দেয়, নিশ্চিত করে। তানজানিয়ায় নারী ও শিশুদের সাথে কর্মযজ্ঞ শেষে তুলেছেন ছবি।
আর মিথিলাও বলেছেন, ‘মাই ওয়ার্ক অ্যান্ড লাইফ ইওন অ্যা ফ্রেম।’
তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন একজন পেশাদার উন্নয়নকর্মী হিসাবে। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ব্র্যাকে একজন গবেষক হিসাবে যোগদান করেন এরপর তিনি আমেরিকায় গিয়ে মিনিয়াপোলিস পাবলিক স্কুল ডিস্ট্রিক্টে কাজ করেন। একবছর সেখানে থাকার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে স্কলাস্টিকায় হাই স্কুলে কাজ শুরু করেন। তিনি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসাবেও কাজ করেন। তিনি গান শিখেছেন হিন্দোল সংগীত একাডেমিতে, নাচ শিখেছেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমিতে, আর অভিনয় শিখেছেন লোক নাট্যদলের চিলড্রেনস থিয়েটারে।
তিনি প্রথম ভর্তি হন লিটল জুয়েলস স্কুলে। এরপর তিনি ভর্তি হন ভিকারুননেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে। এখান থেকেই এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। দিতীয় মাস্টার্স করেছেন আরলি চাইলডহুড ডেভলপমেন্ট বিষয়ে। সেখানে তিনি সাফল্যের সাথে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৯ আগস্ট ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.