অনলাইন ডেস্ক: জিসোমিয়া চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে আসতে এখনও বছর খানেক সময় লাগবে, তবে বিষয়টি এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাজ করছে। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে সামনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গত মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জিসোমিয়া চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশকে একটি খসড়া হস্তান্তর করে যান। যে কোনো উন্নত প্রযুক্তির সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য জিসোমিয়া একটি পূর্বশর্ত। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে এই চুক্তির আওতায় আসতে তাগাদা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকার পক্ষে থেকে এর আগেই জানানো হয়েছিল এই চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ৫টি ধাপের মধ্যে তৃতীয় ধাপের আলোচনা চলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, দুই দেশই চুক্তির বিষয়টি এগিয়ে নিতে কাজ করছে। শিগগিরই অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে দেশে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল।
ছোটখাটো নয়, কেবল উন্নতমানের অস্ত্র কেনার জন্যই এই চুক্তিটি করা হয়ে থাকে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৭৭টি দেশ এই চুক্তির আওতায় এসেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তিতে স্বাক্ষরের ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি অনৈতিক শর্ত জুড়ে দেয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ আরেকবার ভাবার। এর পাশাপাশি অস্ত্র কেনার প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়েও পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দেখা দরকার, যে অস্ত্র বিক্রি করতে চাচ্ছে সেটা আমাদের দরকার আছে কি না। এমন কোনো শর্ত যদি থাকে যেটা আমাদের অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বা অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে- তাহলে বাংলাদেশ এমন কিছু করবে বলেই মনে করি।’
অস্ত্রের বাজারমূল্য যাচাই করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তির দিকে এগোনো প্রয়োজন বলেও মত তার।
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.