আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শিকাগোর পরে লস অ্যাঞ্জেলেস। ফের মার্কিন বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ গেল সাধারণ মানুষের। একটি পার্টি চলাকালীন গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। গুলি লেগে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার ভোররাতের এই ঘটনায় ফের আঙুল উঠল মার্কিন প্রশাসনের দিকে। অবাধে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার অনুমতি থাকার কারণেই কি বারবার বন্দুক হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র জেডার চেভস জানিয়েছেন, রবিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পার্টির মধ্যেই গুলি চলে। তবে কেন গুলি চালানো হয়েছিল তা এখনও অস্পষ্ট পুলিশের কাছে। সেই কারণেই সন্দেহের তালিকায় কাউকে রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চেভস। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গুলি চলার কথা কানে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারা। সেখানে গিয়েই দু’জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাদের নাম ড্যানিয়েল ডারবার ও র্যান্ডি টাইসন্স। তাদের বয়স যথাক্রমে ২৭ ও ২৫ বছর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরেক জনের মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, তখনও রাস্তায় রক্তমাখা জামাকাপড় ও জুতো পড়ে আছে। প্রসঙ্গত, শনিবার শিকাগোর নানা জায়গায় গুলি চলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেকেই রাস্তায় চলাফেরা করার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। তবে সেই ঘটনায় কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
এহেন পরিস্থিতিতে বাইডেন প্রশাসনের উপর চাপ বাড়িয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে মার্কিন জনতা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্দুক কেনার আইন বদল করা নিয়ে আলোচনায় বসেছে মার্কিন সংসদ। জানা গিয়েছে, বন্দুক কেনার আইন বদল করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে। ২১ বছরের কম বয়সিদের বন্দুক কেনায় কড়াকড়ি করা হবে। এছাড়াও নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেবে সরকার। তবে এই পদক্ষেপ খুবই নগণ্য বলে দাবি করেছেন নাগরিকদের একাংশ।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.