রাজশাহীতে জমি সংক্লান্ত মামলার আসামী ৩জন সরকারী চাকরিজীবি, একজন বরখাস্ত!

রাজশাহীতে জমি সংক্লান্ত মামলার আসামী ৩জন সরকারী চাকরিজীবি, একজন বরখাস্ত!

রাজশাহীতে জমি সংক্লান্ত মামলার আসামী ৩জন সরকারী চাকরিজীবি, একজন বরখাস্ত!
ভুক্তভোাগী মোঃ রাজু শেখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে জমি সংক্লান্ত দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি মামলায় তিনজন সরকারি চাকরিজীবির রয়েছেন। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোঃ রাজু শেখকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তবে অপর মামলার দুই জনজন আসামী হয়েও তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়ত্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগী রাজু শেখ।

দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি মামলা আসামীরা হলেন: মোঃ রাজু শেখ (২৫), তিনি কৃষি সম্প্রসারন অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত  লাবলী শেখ (৩৮), তিনি বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালের চাকরিজীবি এবং শাহমখদুম কলেজের শিক্ষিকা রিতা (৩৮)।

এদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারন অফিসের চাকরি জীবি মোঃ রাজু শেখকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কতৃপক্ষ। তবে অপর দুইজনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ।

জানা যায়, জমি ও রাস্তা দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত (৫মার্চ ২০২২) প্রতিপক্ষের  হামলায় আহত হন। রাজু শেখ ও তার মা। এ ঘটনায় রাজুর মা মানিক জান বেগম বাদী হয়ে গত (৫মার্চ ২০২২) প্রতিপক্ষ লাবলী শেখ ও রিতা সহ ৬জনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-৭, তাং-৫/৩/২২।

অপর দিকে, একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহীন শেখ বাদি হয়ে বোয়ালিয় মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাজু শেখ সহ ৬জন আসামী করা হয়। বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-৪, তাং-২/৩/২২।

ভুক্তভোগী রাজুর দাবি জমিজমা সংক্লান্ত একই অভিযোগে দুই পক্ষের মামলা পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়েছে। উভয় পক্ষ বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছে।

তার দাবি এ ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্ট নাই। তাছাড়া ঘটনার দিন অমি নিজ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম এবং অফিসের হাজিরা বহিতে আমার সাক্ষর আছে। পরও প্রতিষ্ঠানিক সাজা ভোগ করছি। অপর দুইজন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চাকরিজীবি লাবলী শেখ এবং শাহমখদুম কলেজের শিক্ষিকা রিতা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার পরও বহাল তবিয়্যতে চাকরি করছেন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের কাছে তাদের শাস্তির দাবি জানান।

মোঃ রাজু শেখের বরখাস্তের ব্যপারে জানতে চাইলে, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মুসদার হোসেন বলেন, আমার সব জানা নাই। আমাদের যেটা নিয়ম আছে। কেউ যদি পুলিশ কাস্টরিতে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। সেটা বিধানেই আছে। রাজু শেখের জামিন আদালতে না মঞ্জুর হয়েছে। পেপার গুলো সেভাবেই অফিসে সাবমিট হয়েছে। সেই অনুযায়ী অতিরিক্ত পরিচালক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

জানতে চাইলে, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবু সাইদ জানান, ঘটনাটি আনেক আগের। তাছাড়া ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে, শাহমখদুম কলেজের অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম বলেন, যে কেউ যে কারো নামে মামলা করতে পারে। মামলা হলেই বরখাস্ত হবে এমন কোন বিধান নেই। আসামীকে বিজ্ঞ আদালত কতৃক সাজা হতে হবে। তবেই তাকে বিধান অনুযায়ী বরখাস্ত করা হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply