কেন্দ্রে ঢুকে ফেসবুক লাইভ, ভোট কারচুপির অভিযোগ

কেন্দ্রে ঢুকে ফেসবুক লাইভ, ভোট কারচুপির অভিযোগ

কেন্দ্রে ঢুকে ফেসবুক লাইভ, ভোট কারচুপির অভিযোগ
কেন্দ্রে ঢুকে ফেসবুক লাইভ, ভোট কারচুপির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক: ফেসবুকে লাইভে এসে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি।

চরলক্ষা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণ দেখুন, বুথে কীভাবে ভোট কারচুপি হচ্ছে।’

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফেসবুক থেকে ২টি লাইভ করেন তিনি। কেন্দ্রে যারা আছেন সবাই ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন এই উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

এ সময় তিনি কেন্দ্রে থাকা পুলিশ ও ভোট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বানাজা বেগম নিশি বর্তমান কর্ণফুলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলীর চরলক্ষা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু-পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ আরেক পক্ষের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

পরে পুলিশ, র‌্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ওমর ফারুক গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনজনকে আটক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, ‘দুই পক্ষ বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। তারপরও দুই পক্ষই উত্তেজনা তৈরি করে।’

সকাল ৮টা থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বড় উঠান ইউনিয়ন থেকে তিনজনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম।

আটক ব্যক্তিরা হলেন: মো. মোরশেদুল ইসলাম, মো. কাওসার ও মো. সালাউদ্দিন। সালাউদ্দিন অন্য ইউনিয়ন থেকে এসেছেন। এ ছাড়া আরেকটি কেন্দ্র থেকে দুজনকে আটক করা হয়। মোট সাতজনকে নানা অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম জানান, দুই পক্ষই নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে। বহিরাগত অনেককেই আনা হয়েছে। তাই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। একজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় মোট সাতজনকে আটক করা হয়।

কর্ণফুলী উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ১৬ হাজার। ৪৫টি কেন্দ্রের ৩২০টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। মাঠে আছে ৬ নির্বাহী ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এদিকে ফটিকছড়ির পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটারসংখ্যা ৩৫ হাজার।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply