আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।
আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেসে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লা স্টেশনের রসুলপুর ক্রসিং এলাকায় শিশুটির জন্ম হয়।

প্রসূতির নাম তানিয়া আক্তার (১৯)। তিনি নরসিংদীর মাধবদী এলাকার এরশাদ মিয়ার স্ত্রী।

তানিয়া আক্তারের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায়। তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাদের।
বর্তমানে মা ও শিশুকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা আল খিদমাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন।

ওই ট্রেনে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরসিংদী স্টেশন থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে উপকূল এক্সপ্রেসের ‘খ’ বগিতে ওঠেন এরশাদ-তানিয়া দম্পতি। ট্রেনটি রসুলপুর ক্রসিং এলাকায় আসতেই প্রসব বেদনা ওঠে তানিয়ার। বিষয়টি জানতে পেরে ট্রেনে কর্তব্যরত গার্ডরা ওই বগির অন্য যাত্রীদের অন্য বগিতে সরিয়ে নেন এবং সেখানে থাকা নারী যাত্রীদের সহযোগিতায় প্রসবের ব্যবস্থা করেন। সবার সহযোগিতায় চলন্ত ট্রেনেই নিরাপদে ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তানিয়া। পরে ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশনে থামলে ট্রেনে কর্তব্যরতরা দ্রুত মা ও নবজাতককে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নবজাতকের বাবা এরশাদ মিয়া জানান, আমি আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া জানাই। আমার স্ত্রী এবং বাচ্চা দুজনই সুস্থ আছেন। বর্তমানে তারা কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বাধন জানান, বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কর্তব্যরত জুনিয়র রেলওয়ে পরিদর্শক (জেআরআই) ড. আমিনুল ইসলাম জানান, চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব করেন তানিয়া বেগম। যাত্রীসহ আমরাও যথাসাধ্য সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply