অনলাইন ডেস্ক: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বান্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দু’দিন পর শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন শনিবার দুপুরে রফিক নামের এক অভিযুক্তকে মহিষখলা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, বাড়ির পেছনে ধানক্ষেতে হাঁস খুঁজতে যায় ওই কিশোরী। পাশেই বসে ছিল একই গ্রামের মৃত সিদ্দিকের ছেলে শাহাদাৎ (২১) ও রাশিদ মিয়ার ছেলে রফিক (৩৩)। হঠাৎ করেই শাহাদাৎ ও রফিক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীর মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বান্দ্রা ছড়ার পাড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে তারা দুজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কিশোরীর মুখের বাঁধন খুলে যায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় শাহাদাৎ ও রাশিদ পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়েকে রফিক ও শাহাদাৎ হাত-পা বেঁধে ধরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ওইদিন রাতেই টাকার বিনিময়ে বিষয়টি শেষ করতে আমার বাড়িতে সালিশ বসে। আমি এই সালিশ না মেনে বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় অভিযোগ করেছি।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.