অনলাইন ডেস্ক: ওপেক তার ২০২২ সালের বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস কমিয়ে দেওয়ার পর মঙ্গলবার এশিয়ার প্রথম দিকের বাণিজ্যে তেলের দাম অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ চীনে জ্বালানী খরচ কমিয়েছে। দাম কমাতে এটি প্রভাব ফেলেছে।
বিজনেস টুডের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ব্যারেল প্রতি ৯২.৭৫ ডলার এবং ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত সিএলসি ওয়ান ব্যারেল প্রতি ৮৫.৩১ ডলারে নেমে আসে।
পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা (ওপেক) উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হারসহ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে এপ্রিল থেকে পঞ্চমবারের জন্য তার ২০২২ সালের বৈশ্বিক তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত রোববার বলেছে যে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রয় ব্যবস্থাপক সমীক্ষায় ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে।
যদিও বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহে চীনের ঘোষণাতে খুশি হয়েছে। চীন জানিয়েছে, তারা জিরো-কোভিড নীতির কঠোরতা কমিয়ে দেবে। তবে দেশটিতে নতুন করে করোনা বৃদ্ধির ফলে চীন সেই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রাশিয়ার তেল রপ্তানির উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আসন্ন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘বাজার বর্তমানে সরবরাহের ঝুঁকিকে অগ্রাহ্য করছে, আশা করা সত্ত্বেও যে সর্বশেষ চাহিদা হ্রাস ওপেকের তেল উৎপাদনের জন্য নেতিবাচক হতে পারে।’
বিশ্বজুড়ে তেলের দাম কমাতে রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ তেল ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের চাহিদার তুলনায় সেই পরিমাণ যথেষ্ট নয়।
সম্প্রতি দাম ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঠিক রাখতে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় ওপেক। সেই সিদ্ধান্তের পরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়।
যাযাদি/
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.