কোন কোন খাবার খেলে পেটের মেদ ঝরবে আবার হার্টের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে

কোন কোন খাবার খেলে পেটের মেদ ঝরবে আবার হার্টের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে

কোন কোন খাবার খেলে পেটের মেদ ঝরবে আবার হার্টের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে
কোন কোন খাবার খেলে পেটের মেদ ঝরবে আবার হার্টের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে

ফারহানা জেরিন: রোগা হওয়ার জন্য যাঁরা অর্ধেক খাবার বাদ দিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ওজনে প্রভাব না পড়ুক, স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এমন কোনও খাবার কি আছে যা ওজন কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্নও নেবে?

একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারে কতটা শর্করা রয়েছে, তা মাপা হয় গ্লাইসেমিক লোডের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক লোডের মান দশের কম সেই খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নামমাত্র বাড়ায়।

অন্য দিকে, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জানান দেয় যে, কোনও নির্দিষ্ট একটি খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়াতে পারে। ১ থেকে ১০০-র মধ্যে যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত বেশি, সেই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা তত বেশি বাড়ায়।

ডায়াবিটিস রোগীরা কী খেতে পারেন আর কী খেতে পারেন না, তার অনেকটাই নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কতটা প্রভাব ফেলে তার উপর। তবে শুধু ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য নয়, ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে যাঁরা ডায়েট মেনে খাবার খান, তাঁদের জন্যও এই ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ এবং ‘গ্লাইসেমিক লোড’ জেনে খাবার খাওয়া জরুরি।

না খেয়ে ওজন ঝরিয়ে শরীরে ক্ষতি না করে, খাবারে এমন ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন করলে যদি দু’টি লক্ষ্যই পূরণ হয়, তবে কেমন হয়?

প্রতিদিনের খাবারে কী কী বদল আনলে মেদও ঝরবে এবং হার্টের স্বাস্থ্যও রক্ষা হবে?

১) আলুর বদলে খেতে পারেন মিষ্টি আলু। যদিও দু’ধরনের আলুতেই পুষ্টিগুণ সমান, কিন্তু মিষ্টি লালু বা রাঙা আলুতে সাধারণ আলুর চেয়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম।

২) ভাত-রুটির বদলে রোজ ডায়েটে রাখুন কিনুয়া, যব, জোয়ারের মতো দানাশস্য।

৩) সাধারণ পাউরুটির বদলে, দানাশস্য দেওয়া লাল আটার পাউরুটি খেতে পারেন।

৪) প্যাকেটজাত কিছু কর্নফ্লেক্সে, মুসলিতেও চিনি দেওয়া থাকে। এই জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।

৫) সাদা, সুগন্ধিযুক্ত ভাত খেতে ভাল লাগলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারী নয়। বদলে ঢেঁকিছাঁটা, লাল চাল খেতে পারেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply