শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
যে কারণে শপথের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মির্জা ফখরুল!

যে কারণে শপথের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মির্জা ফখরুল!

মতিহার বার্তা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ নেতার মধ্যে মির্জা ফখরুল বাদে বাকি ৫ জনই শপথ নিয়েছেন। সংসদীয় এলাকার জনগণের চাপ ও আন্দোলনের অংশ আখ্যায়িত করে বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নিলেও কোনভাবেই শপথে রাজি হননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দুটি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিচ্ছেন না। এর একটি হচ্ছে যেই দলে কোন গণতন্ত্র নেই-লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়, সেই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শপথ নিলে পদ হারাবেন মির্জা ফখরুল। পদ হারানোর ভয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম শপথ নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নিবেন বলে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা আশা করি আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নিয়ে জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে শপথ নিয়ে সংসদে এসে কথা বলুন।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, আমি সিলেট বাসীর কাছে দায়বদ্ধ। এছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে যারাই জয়ী হয়েছেন তারাই সে অঞ্চলের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু মির্জা ফখরুল দায়বদ্ধ নয়। কারণ তিনি বগুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। উনাকে নিজ এলাকার ভোটাররাই ভোট দেয়নি। আর এই কারণেই তাই তিনি শপথ নিতে চাইছেন না।

তিনি আরো বলেন, শুনেছি-শপথ গ্রহণ ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। বিভক্তির কারণে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না দলটি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপি নেতাদের নির্বাচিত করেছে। জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি থেকে জয়ী নেতাদের সংসদে যাওয়া উচিত। কিন্তু এ বিষয়টি মানতেই চাইছে না বিএনপি থেকে নির্বাচনে পরাজিত সদস্যরা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কিছু নেতা এখনো ততটা উদার হতে পারেনি।

বিএনপির বর্তমান অবস্থার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সংসদে যদি একজনও ভিন্ন মতের থাকেন, সেটা দেশের জন্য সুখকর হবে। কিন্তু দেশের কথা চিন্তা করে যারাই শপথ নিতে চাচ্ছে, তাদেরই দল থেকে বহিষ্কার করছে বিএনপি। এতে অহংকার ও হিংসা প্রকাশ পায়। বিগত এক যুগে বিএনপি ত্যাগ করেছে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী। এখন যারা শপথ নিতে চাচ্ছে তাদেরও বহিষ্কার করা হয়, তাহলে তো রাজনীতি বলে কিছু থাকে না। বিএনপি সেই ভুল পথে বার বার পা দিচ্ছে।

নিজে জয়ী হয়নি বলে জয়ী নেতাদের এভাবে যন্ত্রণা দেয়ার কোনো মানেই হয় না। বিএনপির উচিত হবে রাজনীতি বুঝে উদার সিদ্ধান্ত নেয়া। তবেই হয়ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারে দলটি।সূত্র: বাংলা নিউজ ব্যাংক

মতিহার বার্তা ডট কম –  এপ্রিল, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply