অনলাইন ডেস্ক: নাটোরে প্রতারণা করে বিয়ে, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ২০ বছর পর অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোধরা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১২ জুন নাটোরের বড়াইগ্রামে দণ্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী নিজের পরিচয় গোপন করে ভিকটিমকে বিয়ে করেন। পরে আসামি আহম্মদ আলী তার স্ত্রীকে পাচারের উদ্দেশ্যে নাটোর শহরের নিয়ে এসে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিমের বাবা খোঁজ করতে করতে একপর্যায়ে আত্মীয়-স্বজনসহ ১৯ জুন তাকে নাটোর শহরের গাড়িখানা গোরস্থান এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে, অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে দীর্ঘ ২০ বছর পর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মঙ্গলবার বিচারক আহম্মদ আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন এবং একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.