যে কারণে আদালত বর্জন করলো খালেদা জিয়া

যে কারণে আদালত বর্জন করলো খালেদা জিয়া

মতিহার বার্তা ডেস্ক :  অসুস্থতার অজুহাতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিলো।
তবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতের আড়ালে মূলত দলীয় হতাশা এবং নেতাকর্মীদের উপর বিরক্ত হয়েই তিনি আদালত বর্জন করেছেন। দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে হতাশা এবং উদ্দেশ্যহীন রাজনীতির উপর ব্যাপকভাবে ক্ষিপ্ত হয়েই বেগম জিয়া এমনটি করছেন বলেও হাসপাতাল সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে হাসপাতালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাক্ষাৎ করতে আসলে তাকে মুক্তির জন্য রাজনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়া জোরদার করার আহ্বান জানান বেগম জিয়া। প্রয়োজনে দেন-দরবার করে হলেও জামিনের ব্যবস্থা করতে আদেশ দেন বেগম জিয়া। শেষ উপায় হিসেবে বিএনপির বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রের মিশনগুলোতে যোগাযোগ করে তার মুক্তির জন্য সরকারকে চাপ দিতেও মির্জা ফখরুলকে কৌশল শিখিয়ে দেন বেগম জিয়া। জামিনে মুক্তি নিয়ে তিনি ইচ্ছামতো চিকিৎসা করাবেন। সেক্ষেত্রে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে মির্জা ফখরুলকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

সূত্র আরো জানায়, এক সপ্তাহের অধিকসময় পার হয়ে গেলেও মির্জা ফখরুলরা শুধু অভিযোগ ও মানববন্ধন করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন বেগম জিয়া। কঠোর আন্দোলন বাদ দিয়ে সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনে চরম ক্ষিপ্ত হয়েছেন তিনি। তাই অভিমান ও দলের নেতাদের উপর চরম ক্ষিপ্ত হওয়ায় বেগম জিয়ার অস্বস্তি বেড়েছে। এসব কারণে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বিচার বিভাগ, রাজনীতির উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বেগম জিয়া। এসব কারণে নীরব থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই তিনি আদালত বর্জন করেছেন।

তবে বেগম জিয়ার আদালত বর্জন বিচার বিভাগ অবজ্ঞার শামিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অপরাধ করেও প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় অনাস্থা প্রকাশ করাটাকে অপরাজনীতির অংশ হিসেবেও মনে করছেন তারা।সূত্র: বাংলা নিউজ ব্যাংক

মতিহার বার্তা ডট কম – এপ্রিল, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply