মতিহার বার্তা ডেস্ক :  একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হওয়ার পর থেকে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে বিএনপির নেতৃত্বের মূল কাঠামো। দলের দুই প্রধান কর্ণধার খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপিতে বিশৃঙ্খলা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা সমন্বয়হীনভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য লন্ডনে তারেক রহমানের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে ভেরিফিকেশনের উদ্দেশ্যে, জরুরী প্রয়োজনে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ফলে দিন দিন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ছে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম, দলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মতবিরোধ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপিতে যৌথ মতবাদের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সেই সিদ্ধান্ত আবার লন্ডন থেকে ভেরিফাই করতে হচ্ছে! পৃথিবীর কোন দল এভাবে চলতে পারেনা!’ ছাত্র ও তরুণ সমাজকে বিএনপিকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

গত ২২ এপ্রিল রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করণীয় শীর্ষক এক ঘরোয়া আলোচনা সভায় দলের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে একথা বলেন ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের মধ্যে একটি যৌথ নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। এখানে এখন চেইন অব কমান্ড বলে কিছুই নেই। সবাই এখানে নেতা, কে কার কথা মানবে?’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দায় কি কেবল আমার? আমার ভূমিকা নিয়েই কেন প্রশ্ন তোলা হয়? আমার কমান্ড কয়জন মানে এখানে? বিভিন্ন সময়ে ছাত্রসমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র ও তরুণ সমাজের ওপর দায়িত্ব এসেছে এখন দল রক্ষার জন্য এবং দলের নেত্রীকে মুক্ত করা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’

বিগত বেশকিছু দলীয় অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে ফখরুলের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন দলের সিনিয়র-জুনিয়র অনেক নেতাই। তার জের ধরেই ফখরুলের এই জবাব বলে মনে করছেন অনেকে।

উক্ত সভায় আরও বক্তব্য দেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৫ এপ্রিল, ২০১৯